কবুতরের মাংসের উপকারিতা ও অপকারিতা

কবুতরের মাংসের উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন বিস্তারিত। বাংলাদেশ সহ বহু দেশে কবুতরের মাংস একটি খুবই জনপ্রিয় খাবার। যেমন খেতে সুস্বাদু তেমনি উপকারী। এটি প্রোটিনের একটি বড় উৎসব পাশাপাশি এতে রয়েছে বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ উপাদান।

কবুতরের মাংসের উপকারিতা ও অপকারিতা

যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। সব খাবারেরই মত কবুতরের মাংসের যেমন নানান উপকারিতা দিক রয়েছে তেমনি রয়েছে এর কিছু অপকারিতা দিক। সঠিক নিয়মে পরিমিত খেলে এটি যেমন স্বাস্থ্যের জন্য উপকার বয়ে আনে তেমনি মাত্রা অতিরিক্ত বা নিয়ম না জেনে খেলে হতে পারে স্বাস্থ্য ঝুঁকি। চলুন জেনে নেই কিভাবে এবং কাদের কবুতরের মাংস খাওয়া উচিত। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ  কবুতরের মাংসের উপকারিতা ও অপকারিতা

কবুতরের মাংসের উপকারিতা ও অপকারিতা

কবুতরের মাংসের উপকারিতা ও অপকারিতা উভয়দিকই রয়েছে সব খাবারের মতো কবুতরের মাংসের ও যেমন রয়েছে কিছু উপকারিতা দিক তেমনি রয়েছে কিছু অপকারিতার দিক। নিয়ম মেনে ও পরিমত খেলে এটি হতে পারে স্বাস্থ্য জন্য খুবই উপকারী একটি খাদ্য তেমনি অপরিমিত বা নিয়ম না মেনে খেলে হয়ে যেতে পারে বড় স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ।

কবুতরের মাংসের উপকারিতা ও অপকারিতা দুইটি দিক থাকলেও উপকারিতাই বেশি। কবুতরের মাংস রয়েছে উচ্চমানের প্রোটিন, বিভিন্ন ভিটামিন, মিনারেল ও বিভিন্ন খনিজ উপাদান। যা আমাদের মানব দেহের জন্য খুবই উপকারী ও দরকারি। কবুতরের মাংস আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এতে থাকা জিংক,আয়রন, ভিটামিন বি শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে করে শক্তিশালী। এছাড়াও এতে থাকে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও পটাশিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ সব উপাদান। যা শরীরের পেশি গঠন করে,খত পূরণ করে এবং শক্তি জোগাতে সাহায্য করে।

কবুতরের মাংসের উপকারিতা ও অপকারিতা দুইটি দিকের মধ্যে আমরা জানি এর উপকারিতার দিকই বেশি। তবে আমাদের এর অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিক নজর আড়াল করলে চলবে না। নিয়ম না মেনে অপরিমিত অতিরিক্ত খেলে অনেকের অনেক জটিল সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুদের কবুতরের মাংস খাওয়ার সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

উচ্চ প্রোটিনের উৎস হিসেবে কবুতরের মাংসের ভূমিকা

কবুতরের মাংস উচ্চ প্রোটিনের খুবই ভালো উৎসব। কবুতরের মাংসে উচ্চ প্রোটিন থাকায় এই মাংস খেলে আমাদের শরীর শক্তিশালী হয়। পাশাপাশি গরু, খাসি বা মুরগির তুলনায় কবুতরের মাংসে হজম যোগ্য প্রোটিনের পরিমাণ বেশি। উচ্চ মানের প্রোটিন আমাদের শরীরের টিস্যু মেরামত, পেশী গঠন এবং শক্তি উৎপাদনের ভূমিকা রাখে। প্রোটিনে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিডগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

শিশু কিশোদের বাড়তি বয়সে শরীরে প্রোটিনের চাহিদা বেশি থাকে এমন অবস্থায় কবুতরের মাংস প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। প্রোটিনের প্রাকৃতিক উৎস হিসেবে কবুতরের মাংস খুবই ভালো একটি উৎস। যারা দুর্বলতা বোধ করে এবং যাদের হাড়ের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত ও পরিমিতভাবে কবুতরের মাংস গ্রহণ করতে পারে। তবে মাত্র অতিরিক্ত খেলে হতে পারে কোলেস্টেরলের ঝুঁকি। তাই আমাদের সকলের উচিত আমাদের নিজেদের স্বাস্থ্যের অবস্থা বিবেচনা করে এটি খাওয়া।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কবুতরের মাংস যেভাবে ভূমিকা রাখে

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কবুতরের মাংস ভূমিকা পালন করে। কবুতরের মাংস থাকা বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান যেমনঃ আয়রন, জিংক, ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স,মিনারেল ও অ্যামিনো অ্যাসিড শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্থাৎ ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে ভুমিকা রাখে। শরীরে আয়রনের অভাব রক্তশূন্যতা সৃষ্টি কারণ, রক্তশূন্যতা হলে শরীর দুর্বল হয়ে যায় এবং মানুষ ছোট খাটো নানা রোগজীবাণুতে সহজে আক্রান্ত হয়। যেহেতু কবুতরের মাংসের আয়রন থাকে সুতাং কবুতরের মাংস খাওয়ার ফলে আমাদের রক্তশূন্যতার সৃষ্টি হয় না এবং আমরা রোগজীবাণু থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারি।

এছাড়াও কবুতরের মাংসে থাকার জিংক শরীরের ক্ষতস্থান পূরণ করে এবং ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে।ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স মানসিক চাপ কমানোর পাশাপাশি স্নায়ুতন্ত্র শক্তিশালী করে।আবার কবুতরের মাংসে কম ফ্যাট থাকে এবং এটি সহজপাচ্যতা হয় সহজেই হজম হয়। কবুতরের মাংস উচ্চ প্রোটিনের উচ্চতার পাশাপাশি এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তাই নিয়মিত কবুতরের মাংস খেলে আমাদের শরীরের রক্ত ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

কবুতরের মাংস যেভাবে রক্তশূন্যতা বা রক্তস্বল্পতা দূর করে

কবুতরের মাংস রক্তশূন্যতা বা রক্তস্বল্পতা দূর করে। কবুতরের মাংসের প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে যা আমাদের হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে এবং রক্তে অক্সিজেন সরবরাহের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। নিয়মিত কবুতরের মাংস খাওয়ার ফলে রক্তশূন্যতা দূর হয় যার ফলে রক্তশূন্যতা জনিত নানান সমস্যা যেমন মাথা ঘোরা, দুর্বলবোধ হওয়া, ক্লান্তি অনুভব করা ইত্যাদি সমস্যা দূর হয়।

পাশাপাশি এখানে থাকা জিংক ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্স লোহিত রক্ত কণিকা তৈরিতে সাহায্য করার মধ্যমেই  রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। বিভিন্ন শিশু, গর্ভবতী নারী, কিশোর কিশোরী বা বয়স্ক ব্যক্তি যারা রক্তশূন্যতা বা রক্তস্বল্পতায় ভুগছে তাদের জন্য ক্ষতির মাংস হতে পারে খুবই উপকারী।

কবুতরের মাংসের উপকারিতা ও অপকারিতা

কবুতরের মাংসে থাকা বিভিন্ন উপাদান যেভাবে আমাদের উপকারে আসে

কবুতরের মাংসে থাকা বিভিন্ন উপাদান আমাদের যেভাবে উপকার আছে সে সম্পর্কে আমরা আগেই ধারণা পেয়েছি। তবে এবার আমরা এমন কিছু উপাদান সম্পর্কে জানব যা সচরাচর আমরা জানিনা। কবুতর মাংসে প্রোটিন, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, আয়রন, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, জিংক ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ, ম্যাগনেসিয়াম, সেলেনিয়াম সহ আরও কিছু উপাদান।
  •  প্রোটিনঃ প্রোটিন আমাদের বেশি গঠন হাড় মজবুত এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • আয়রনঃ আয়রন আমাদের রক্তশূন্যতা বা স্বল্পতা দূর করে হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে এবং রক্ত অক্সিজেনের সরবরাহের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
  • জিংকঃ যে ক্ষতস্থান সারায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে
  • ফসফরাস ও ক্যালসিয়ামঃ ফসফরাস ও ক্যালসিয়াম হাড় দাত মজবুত করে শরীরে শক্তি উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং স্নায়ু পেশির কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
  • ভিটামিন বি-কমপ্লেক্সঃ ভিটামিন বি কমপ্লেক্স বলতে বি১, বি২, বি৬, বি১২ কে বুঝাই। এটি মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ এবং স্নায়ুতন্ত্রকে শক্তিশালী করে।
  • ভিটামিন এঃ ভিটামিন এ চোখ এবং ত্বকে সুস্থ ভালো রাখে এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • সেলেনিয়ামঃ সেলেনিয়ামঃ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কাজ করে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধের ভূমিকা রাখে।
  • ম্যাগনেসিয়ামঃ ম্যাগনেসিয়াম পেশি এবং স্নায়ুর কাজে ভূমিকা রাখে। পাশিপাশি শরীরকে শক্তি যোগাই এবং ক্লান্তি কমায় যার ফলে ঘুমও ভালো আসে।
সর্বোপরি কবুতরের মাংসে থাকা সকল উপাদানই আমাদের শরীরে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং শরীরকে সুস্থ রাখে। উপরে কবুতরের মাংসে থাকা বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানের কাজ সহ বর্ণনা করা হয়েছে।

কবুতরের মাংসের কিছু অপকারিতার দিক

আমরা কথা বলছি কবুতরের মাংসের উপকারিতা ও অপকারিতা দিক নিয়ে এতক্ষণ আমরা কবুতরের মাংস খাওয়ার নানা উপকারিতার কথা বললাম এবার আসা যাক কিছু অপকারিতার দিক নিয়ে। সকল খাবারের মত কবুতরের মাংসের ও কিছু অপকারিতার দিক রয়েছে। এখন আমরা সেগুলো নিয়ে আলোচনা করব। 

প্রথমে আসা যাক কোলেস্টেরলের ঝুঁকির ব্যাপারে অতিমাত্র কবুতরের মাংস খেলে হতে পারে উচ্চ কোলেস্টেরলের ঝুঁকি। এবং উচ্চ কোলেস্টেরলের ফলে হৃদরোগের সমস্যা হতে পারে। আবার যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের কবুতরের মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সর্তকতা না মেনে খেলে যাদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে তাদের ত্বকে হতে পারে র‍্যাশ বা চুলকানি এমনকি গুরুতর অবস্থা হলে শ্বাসকষ্টের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। 

রোগীজীবাণুর ঝুঁকি ও হজমের সমস্যা কারণ

কবুতরের মাংসে অনেক রোগ জীবাণু থাকতে পারে তাই কবুতরের মাংস খাওয়ার আগে অবশ্যই মাংসটাকে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে তা না হলে আমরা নানা ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হতে পারি এবং এবং এই ব্যাকটেরিয়ায় দেওয়ার ফলে আমাদের শরীরে বাসা বাঁধতে পারে নানা রোগ জীবাণু যেমনঃ স্যালমোনেলা বা ইকলাই। সুতরাং কবুতরের মাংস খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই সেটাকে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ রান্না করতে হবে তা না হলে আমরা ডায়রিয়া, জ্বর, পেট ফাঁপার মতো রোগে আক্রান্ত হতে পারি।

অতিরিক্ত কবুতরের মাংস খেলে অনেক সময় হজমের সমস্যা হয় তাই সবসময় পরিমিত কবুতরের মাংস খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত মাংস খেয়ে ফেললে পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য বা বদহজমের মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর এর পাশাপাশি আমাদের চেষ্টা করতে হবে টাটকা মাংস খাওয়ার ফ্রিজে রেখে পুরোনো মাংস খাওয়ার ফলে ব্যাকটেরিয়া সহ নানান রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।

গর্ভবতী নারী শিশু কিশোর কিশোরী এবং বয়স্কদের কবুতরের মাংস খাওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা

গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী নারীর শরীরে রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে। কবুতরের মাংসে যেহেতু আয়রন, বিভিন্ন ভিটামিন খনিজ উপাদান এবং প্রোটিন থাকে তাই গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী নারী কবুতরের মাংস খেলে  রক্তশূন্যতা এবং হাড়ের ব্যথা জনিত সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব। আবার কবুতরের মাংস যেহেতু সহজে হজম করা যায় তাই গর্ভাবস্থায় এটি খাওয়া নিরাপদ। তবে বেশি খেলে কোলেস্টেরলের সমস্যা হতে পারে তাই এই অবস্থায় কিছু খাওয়ার অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া উচিত

শিশুদের বাড়তি বয়সে কবুতরের মাংস খেলে তার নানা উপকারে আসে তবে মাংস হজম করতে পারছে কিনা সে দিকে নজর রাখতে হবে এবং ছোট ছোট টুকরা করে মাংস খাওয়াতে হবে। কিশোর কিশোরীদের জন্য তেমন কোন সমস্যা না থাকলেও অ্যালার্জির সমস্যা আসে কিনা সেই দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কিন্তু বয়স্কদের না ধরনের সমস্যা থাকে যেমনঃ হার্টের সমস্যা বা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা সুতরাং তাদের ক্ষেত্রে কবুতরের মাংস খাওয়ার ব্যাপারে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।অতিরিক্ত মাংস খাওয়ার ফলে উচ্চ রক্তচাপ বা হার্টের নানা সমস্যা হতে পারে তাই কবুতরের মাংস খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া উত্তম।

কবুতরের মাংসে খাওয়ার ব্যাপারে যাদের রয়েছে স্বাস্থ্যঝুকি

কবুতরের মাংস নানা পুষ্টি গুনে সমৃদ্ধ হলেও সবার জন্য একটি খাবার সবসময় উচিত নয়। যাদের যাদের উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের সমস্যা, হজমের সমস্যা বা কোলেস্টেরলের সমস্যা তাদের ক্ষেত্রে কবুতরের মাংস খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসার পরামর্শ নিতে হবে। এছাড়া যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অথবা  আলসার জনিত সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কবুতরের মাংস না খাওয়ায় উত্তম। 

এবং শিশু কিশোর গর্ভবতী নারী ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে অবশ্যই ভালোভাবে পরিষ্কার করে এবং পর্যাপ্ত রান্না করে খেতে হবে।তা না হলে নানা রোগ জীবাণু ব্যাকটেরিয়ায় আমরা আক্রান্ত হতে পারি বা নানাম জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। 
কবুতরের মাংসের উপকারিতা ও অপকারিতা

শেষ কথাঃ কবুতরের মাংসের উপকারিতা ও অপকারিতা

সবশেষে কবুতরের মাংসের উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে বলতে গেলে কবুতরের মাংসের উপকারিতার দিকটাই বেশি আসবে কবুতরের মাংস আমাদের জন্য নানা উপকার বয়ে আনে। বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কবুতরের মাংস একটি জনপ্রিয় এবং পুষ্টিকর খাবার হিসেবে পরিচিত। উপরের আলোচনা থেকে আমরা দেখলাম কবুতরের মাংস খাওয়ার সুফলগুলো। এতে নানা ধরনের রাসায়নিক উপাদান রয়েছে যে আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী কবুতরের মাংস খেলে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় রক্তশূন্যতা বা রক্তস্বল্পতা দূর হয় চোখের জন্য উপকারী এবং ত্বকের জন্যও এর উপকারের শেষ নেই। তবে সব কিছুর মতো কবুতরের মাংসের উপকারিতা দিক থাকলেও অপকারিতার দিকও রয়েছে। কবুতরের মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে যাদের উচ্চ রক্তচাপ বা হার্টের সমস্যা রয়েছে তাদের ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক খেতে হবে। আর পূর্বে অবশ্যই ভালো পরিষ্কার করে নিতে হবে।

আমার মতে কবুতরের মাংসের উপকারিতা ও অপকারিতা উভয় দিকের মধ্যে উপকারিতার সংখ্যায় বেশি এবং এতে উপকারী অনেক উপাদান রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারি এবং যারা নানা রোগে ভুকছে বা শরীর দুর্বল তারা কবুতরের মাংস খেয়ে উপকার পাবে। তবে অবশই যার যার শারীরিক অবস্থা মোতাবেক ডাক্তারের পরামর্শ মেনে খাওয়া উচিত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ক্রিয়েটিভ ইনফো ৩৬০ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url